বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স আজ ১৮ মে ২০২২ এক বিবৃতিতে বিদ্যুৎ এর দাম ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধির প্রক্রিয়ার খবরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে, একে গণবিরোধী ও সরকারের দায়িত্বহীন আচরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিবৃতিতে এই দাম বৃদ্ধির পায়তারা বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বিদ্যুৎ এর মুলা‘ ঝুলিয়ে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল সহ অনেক অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে খরচ বাড়ানো হয়েছে। দেশপ্রেমিক বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষের কথা না শুনে এই সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র বর্ধিত ও অহেতুক খরচের টাকা জনগণের পকেট থেকে তুলতে দাম বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বিদ্যুৎসহ জ্বালানী খাতের দুর্নীতি ও ভুলনীতির সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করে বলেন, সরকার ও কিছু ব্যক্তির ভুলনীতি ও দুর্নীতির দায় সাধারণ জনগণ নেবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, ৫০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস বসিয়ে রাখা হয়েছে। এজন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এমনকি সিস্টেম লসেই বছরে অপচয় হচ্ছে তিন হাজার কোটি টাকা।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সঠিক নীতি, সময়মতো রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বন্ধ, দুর্নীতি, অহেতুক অপচয় ও সিস্টেম লস কমাতে পারলে বিদ্যুৎ এর দাম বাড়ানোর বিষয়টি আলোচনায়ই আসত না, বরং দাম কমান্ োযেত।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা সংকট এখনও দেশব্যাপী কাটিয়ে উঠতে পারেনি। সাধারণ মানুষের আয় কমে গেছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা। এসময় বিদ্যুৎ এর দাম বাড়লে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। কৃষি, শিল্প উৎপাদন ও সেবা খাতে খরচ বাড়বে। নিত্যপণ্যের দাম আরও বাড়বে। মানুষের মাসিক খরচ বাড়বে। যা বহন করার সক্ষমতা সাধারণ মানুষের নেই।
বিবৃতিতে বিদ্যুৎ এর দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়া বন্ধ এবং অপ্রয়োজনীয় কেন্দ্র বন্ধ, কঠোর হাতে দুর্নীতি দমন ও সিস্টেম লস কমাতে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে দেশপ্রেমিক বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে সাশ্রয়ী ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি