স্বপ্নের পদ্মাসেতু, নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা ও পরবর্তীতে আবারও নির্মাণ এবং টোল.........

তারিক হোসেন মিঠুল


স্বপ্নের পদ্মাসেতু, নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা ও পরবর্তীতে আবারও নির্মাণ এবং টোল.........

রেল সংযোগ ছাড়া পদ্মাসেতুর বাদবাকি নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। সময় এসেছে জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার। আগামী মাসে অর্থাৎ জুন ২০২২-এ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসছে।

রাষ্ট্রীয় যেকোনো স্থাপনা বা সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যা ছাড়া এতো বড় বিনিয়োগ জলে যেতে বাধ্য। আর সেজন্য চাই টাকা। এই টাকা আসবে জনগণের পকেট থেকেই। এতে মালিকানা যেমন জোরদার হয়, তেমনি নিয়মিত এর সব খবরাখবর রাখার অধিকারও নিশ্চিত হয়।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন বাহনের ভিন্ন ভিন্ন টোল নির্ধারণ করা হয়েছে, যা নিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী মতামত দেখছি সোশ্যাল মিডিয়াসহ গণমাধ্যমে।

গাড়ির মালিক টোল দেবে, বিনিময়ে তার সময় কম লাগবে, বেশি ট্রিপ পাবে, ব্যবসা হবে। কাঁচামাল ঘন্টার পর ঘন্টা ঘাটে অপেক্ষার কারণে নষ্ট হবেনা, তাতে টাটকা পণ্য মানুষের কাছে আসবে। দক্ষিণের যেসব পরিবহন আরিচা হয়ে যেতো তার মধ্যে অনেকগুলোই এখন এই সেতু পার হবে। এতে প্রায় ১০০ কিলোমিটার রাস্তা কম হবে। তেল বাঁচবে........ এক কথায় পদ্মাসেতুর হাজারো সুবিধা বিবেচনায় নিয়েই দক্ষিণ বাংলার মানুষের বহুল কাঙ্ক্ষিত এই সেতু। বাস্তবতার নিরিখে আলোচনা জরুরি।

তবে হ্যা, টোল নীতিমালা আগে হওয়া জরুরি। কত মিটার সেতুর কত টোল হওয়া বা প্রতি মিটার সেতু পার হতে কত পয়সা সেটি নির্ধারণ হতে পারে। নদী বা খালের সেতুর নির্মাণ ব্যয় হিসাবে তার স্থায়িত্ব, ব্যবস্থাপনা ও পুনরায় নির্মাণ ব্যয় হিসাব করে এই টোল নির্ধারণ হতে পারে।

বিলাসবহুল এসি বাস, সাধারণ এসি এবং সাধারণ নন এসির টোল ভিন্নভিন্ন হওয়া বাঞ্ছনীয়।

যারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন ও মতামত দিচ্ছেন তাদের অবশ্যই উচিৎ হবে এতসব অংক কষে স্পষ্টত পরিস্কার করে বলা যে, কোন ধরণের বাহনের কত টোল হওয়া বাঞ্ছনীয়।

মনে রাখা দরকার, নির্মাণ ব্যয়ের জন্য এতদিন জনগণ টাকা দিয়েছে, এখন দিতে হবে উপরোক্ত কারণে। তবে তা অবশ্যই যুক্তিগ্রাহ্য হতেই হবে।

লক্ষ্য রাখতে হবে, এই সুযোগে ভাড়া বাড়িয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা জনগণের পকেট উজাড় করতে উঠেপড়ে না লাগে। কেননা ওরা উছিলা খোঁজে জনতার বারোটা বাজিয়ে সব লুটে নিতে।

টোল ইজ মাস্ট

অ্যামাউন্ট সুড র‌্যাশনাল