শিরোনাম
নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী ধ্রুবব্রত দাস ধ্রুব’র অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনলাইনে কুতথ্য প্রতিরোধে সফল ভূমিকা রাখছে আইইডি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন নিত্যপণ্যের দাম কমানো, রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে গাইবান্ধায় বাম জোটের বিক্ষোভ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জরুরী পদক্ষেপের দাবি বাম জোটের জ্বালানি খাতে এখনই ৪০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব খাওয়ার স্যালাইনের সহ-উদ্ভাবক বাংলাদেশের বন্ধু রিচার্ড ক্যাশ মৃত্যু বরণ করেছেন বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যাবে তিনবার  কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে পদত্যাগের আলটিমেটাম  বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত টাকা ফেরাতে  আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক সহযোগিতায় রাজি

রমনা বটমূলসহ ২ মামলার ফাঁসির আসামি হুজির সাবেক আমির গ্রেপ্তার

রমনা বটমূলসহ ২ মামলার ফাঁসির আসামি হুজির সাবেক আমির গ্রেপ্তার

জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের সাবেক আমির মুফতি আব্দুল হাইকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র‌্যাব; যিনি শেখ হাসিনা হত্যা প্রচেষ্টা ও রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে ছিলেন।

বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।

রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে রেখে শেখ হাসিনা হত্যা প্রচেষ্টা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাই। এছাড়া একাধিক মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড পেয়েছেন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি'বি) এই সাবেক আমির।

এর আগে গত ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে বোমা হামলার মামলায় আরেক ফাঁসির আসামি মুফতি শফিকুরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

তাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের বিশেষ এ ইউনিট জানায় গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মনামে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও ইমামতি করে আসছিলেন শফিকুর।

২০০১ সালে রাজধানীর রমনার বটমূলে ছায়ানটের বৈশাখ বরণের অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন প্রাণ হারান। বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূলে আঘাত হানতে মৌলবাদী গোষ্ঠী সেই হামলা চালিয়েছিল বলে পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে।

হামলার পর ওই দিনই নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।

 

দুই মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১৪ জঙ্গিকে আসামি করা হয়।

ঘটনার প্রায় আট বছর পর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এ মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দায়রা জজ আদালত প্রধান আসামি মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাওয়া অন্যরা হলেন মুফতি শফিকুর রহমান, আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার ও মুফতি আব্দুল হাই।

দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে তাজউদ্দিন, বদর, হাফেজ জাহাঙ্গীর ও আব্দুল হাই পলাতক ছিলেন। বুধবার ধরা পড়লেন আব্দুল হাই।