কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের মধ্যে দিয়ে প্রচারণা শুরু হয়েছে শুক্রবার। প্রার্থীদের কাছে ভোট চাইতে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা।
আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের সরব হওয়ার মধ্যেই সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার কমিশনার শনিবার থেকে ভোটের এলাকাগুলো সফর করা শুরু করবেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের জানান, ১৫ জুনের নির্বাচনকে সামনে রেখে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা মাঠ পর্যায়ে যাচ্ছেন। তারা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সভা করবেন।
দায়িত্ব নেওয়ার পর আস্থা অর্জনের প্রথম এ ভোটের দিকে সবার নজর। কমিশনও সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের বিষয়ে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে।
কুমিল্লা সিটিতে ভোটের এক মাস আগেই প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ম্যাজিস্ট্রেট ও বিজিবি মোতায়েন করেছে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এখন প্রচারণার শুরু থেকেই নির্বাচনী আইন ও বিধি অনুসরণে কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চায় কমিশন। এর অংশ হিসেবেই তারা মাঠ পর্যায়ে যাওয়া শুরু করবেন।
কুমিল্লা সিটির নির্বাচনের ইভিএম কাস্টমাইজেশন পর্যবেক্ষণের জন্য প্রার্থীসহ ৩৪ জন প্রতিনিধি রিটার্নিং অফিসারের কাছে নাম জমা দিয়েছে।
ইসির যুগ্মসচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান জানান, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এবারই প্রথম কাস্টমাইজেশন পর্যবেক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে কমিশন।
আগামী সোমবার (৩০ মে) সকাল ১০টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন উপলক্ষে ইভিএম কাস্টমাইজেশন পর্যবেক্ষণ করার সূচি রাখা হয়েছে।
এর আগে ১৩ জুন এ সিটির তৃতীয় নির্বাচনের আগে ভোটারদের ইভিএমে ভোট দেওয়ার মহড়ায় সব কেন্দ্রেই হবে 'মক' ভোটিং।