এলএনজির দাম কমল টানা তৃতীয় দফা

এলএনজির দাম কমল টানা তৃতীয় দফা

এলএনজি কিনতে টানা তৃতীয় দফায় আরও কম ব্যয় হবে দেশের; যদিও এ দর দুই বছর আগের বাজার পরিস্থিতির চেয়ে অনেক বেশি।

বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে গানভর সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজি ২৪ দশমিক ২৫ ডলারে কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান চৌধুরী জানান, পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে প্রতি ইউনিট ২৪ দশমিক ২৫ ডলার মূল্যে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি মোট ৮৩৮ কোটি ৯১ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এবার গানভর সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে এলএনজি কেনা হচ্ছে বলে তিনি জানান। এর আগের দুই দফায় সিঙ্গাপুরের আরেক কোম্পানি ভিটল এনার্জির কাছ থেকে কেনা হয়েছিল।

দেশে গ্যাসের চাহিদা বাড়তে থাকায় সাম্প্রতিক সময়ে প্রতি মাসেই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এলএনজি কেনার এক বা একাধিক প্রস্তাব ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে তোলা হচ্ছে। চাহিদা বিবেচনায় তা অনুমোদনও দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার কমিটির বৈঠক শেষে অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর বলেন, “এবারও এলএনজির দাম কিছুটা কমেছে। আগের লটে প্রতি ইউনিটের দাম ছিল ২৫ দশমিক ৭৫ ডলার। এবার সেটা কমে গিয়ে হল ২৪ দশমিক ২৫ ডলার।”

কোভিড মহামারীর মধ্যে গত এক বছর ধরে বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম বাড়ছে। এর আগে প্রতি ইউনিট ৭ থেকে ৯ ডলারেও তরল এ গ্যাস কিনতে পেরেছিল বাংলাদেশ। ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম কমে গিয়ে ৪ ডলারেও নেমেছিল।

 

সাম্প্রতিক আমদানি মূল্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, মার্চে প্রতি ইউনিট কিনতে দাম পড়েছে ৩৬ দশমিক ৭০ ডলার; যা কেনা হয়েছিল সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়ার কাছ থেকে।

এপ্রিলে প্রতি ইউনিট এলএনজি কেনা হয়েছিল ২৯ দশমিক ২৫ ডলারে- যা পরে ১০ শতাংশ কমে ১৮ মে ২৬ দশমিক ৪০ ডলারে নেমেছিল। গেল ২৬ মে ভিটল এনার্জির কাছ থেকেই ২৫ দশমিক ৭৫ ডলারে কেনা হয় এলএনজি।