উদীচীর ২২তম সম্মেলনের উদ্বোধন

পাঠ্যপুস্তকে অপসংস্কৃতি ঢুকে গেছে, বিজ্ঞানকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে

পাঠ্যপুস্তকে অপসংস্কৃতি ঢুকে গেছে, বিজ্ঞানকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে

‘শ্রেণিভেদ ভাঙি শোষিতের রোষে, সম্প্রীতির মালা গাঁথি ভেদাভেদ নাশে’— স্লোগানে শুরু হলো বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ২২তম সম্মেলন।

রাজধানীর গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংগঠনটির তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন হয়।

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ধর্ম অবমাননার অভিযোগে কারাভোগ করা মুন্সীগঞ্জের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মন্ডল। উদ্বোধনী বক্তবে তিনি বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তকে অপসংস্কৃতি ঢুকে গেছে। বিজ্ঞানকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।’

 

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ড. শফিউদ্দিন আহমেদ, সহসভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, নাট্যজন মামুনুর রশীদ, অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবাল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু এবং চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সমন্বয়কারী নিখিল দাস।

সভাপতির বক্তব্যে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি সফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ, সে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে প্রগতির দিকে। উদীচী মনে করে, মানুষের মুক্তির জন্য উদীচীর আবির্ভাব। উদীচীর কোনো ভয় নেই।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, রাষ্ট্রের অসাম্প্রদায়িক চরিত্রে পরিবর্তন আনতে হবে। আর এ পরিবর্তন বিজ্ঞান শিক্ষার কথা বলবে। এ পরিবর্তনে একটি সাংস্কৃতিক জাগরণ দরকার, যার নেতৃত্ব দেবে রাজনৈতিক দলগুলো। নইলে রাষ্ট্র অসাম্প্রদায়িক হবে না।

আলোচনা অনুষ্ঠানের পর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি মহানগর নাট্যমঞ্চ থেকে যাত্রা করে গোলাপ শাহ মাজার হয়ে জিপিও মোড় ঘুরে আবার নাট্যমঞ্চে ফিরে আসে।