বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে ট্যাক্স আরোপ মালিক পক্ষের অবৈধ আয়কে বৈধ করার সরকারি অপচেষ্টা

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে ট্যাক্স আরোপ মালিক পক্ষের অবৈধ আয়কে বৈধ করার সরকারি অপচেষ্টা

২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি কলেজ এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজের উপরে ১৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাবণা বাতিলের দাবিতে নো ভ্যাট অন এডুকেশনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ জুন, ২০২২ শুক্রবার বেলা ১২ টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর প্রস্তাবিত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

নো ভ্যাট অন এডুকেশনের সংগঠক শাহরিয়ার অপূর্ব'র সভাপতিত্বে ও সংগঠক শরিফুল ইসলাম সৌরভের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ২০১৫ সালের নো ভ্যাট অন এডুকেশনের সংগঠক জয় বনিক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দিয়াত মাহমুদ শাকিল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাকিব হাসান সুজন, আসমাউল মুত্তাকিন সরকারসহ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালে আমাদের অগ্রজরা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা সংকট নিরসন, বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্হা প্রণয়ন ও ছাত্র স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে নো ভ্যাট অন এডুকেশন প্লার্টফমটি গঠন করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের উপর প্রস্তাবিত ১৫% কর প্রত্যাখান করছি। ২০১৫ সালে সরাসরি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট প্রদানের কথা বলা হয়েছিলো। এবারো বেসরকারি শিক্ষা- প্রতিষ্ঠানের কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে করের টাকা আদায়ের পায়তারা চালানো হচ্ছে। যা শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তর করার নীল নকশা। বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে পণ্যে রূপান্তর করার যে অপচেষ্টা তা রুখে দিয়ে ২০১৫ সালে সরকারকে ভ্যাট প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছিলাম। এবারো পূর্বের মতোই আমরা বলতে চাই, শুধু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয় যেখানেই শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তর করার নূন্যতম চেষ্টা চলবে সেখানেই নো ভ্যাট অন এডুকেশন প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

সভাপতির বক্তব্যে শাহরিয়ার অপূর্ব বলেন, "বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এ স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ সম্পূর্ণ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হবে। যদি তাই হয় তবে কি করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের মালিক পক্ষ মুনাফা অর্জন করে? ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী বলা চলে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মালিক পক্ষ যে মুনাফা অর্জন করছে তা সম্পূর্ণ রূপে অবৈধ। প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫% করের মাধ্যমে সরকার ঐ অবৈধ মুনাফা অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে এবং অবৈধ মুনাফাকে বৈধ করার অপচেষ্টা করছে সরকার।"

অবিলম্বে যদি প্রস্তাবিত ১৫% কর বাতিল করা না হয় তবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে দূর্বার ছাত্র আন্দোলনের মধ্যদিয়ে ছাত্র স্বার্থ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের রুখে দেওয়ার হুশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ।