মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে হবিগঞ্জের লাখাইয়ের পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদন্ড, তিনজনকে আমৃত্যু কারাদন্ড ও একজন খালাস দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
গত ২৮ জুন ট্রাইব্যুনাল এই মামলায় রায়ের জন্য আজ ৩০ জুন দিন ধার্য করে আদেশ দেন। রায়ে পাঁচ আসামির মধ্যে মো. শফি উদ্দিন মাওলানাকে (পলাতক) মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে। আমৃত্যু কারাদ-প্রাপ্ত তিন আসামি হলেন মো. তাজুল ইসলাম ওরফে ফোরকান, মো. জাহেদ মিয়া ও ছালেক মিয়া। মামালায় অপর অভিযুক্ত সাব্বির আহমেদকে (পলাতক) খালাস দেয়া হয়েছে।
কারাগারে থাকা তিন আসামিকে আজ হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা আসামিদের বিরুদ্ধে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার, গাজী এম এইচ তামিম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এটি ৪৭তম রায়।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় লাখাইয়ে হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়। চার আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। একজনকে মৃত্যুদ- ও তিনজনকে আমৃত্যু কারাদ- দেয়া হয়েছে।
প্রসিকিউটর জানান, বয়স বিবেচনায় সাব্বির আহমেদকে খালাস দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন তথ্য প্রমাণে মুক্তিযুদ্ধের সময় এ আসামির বয়স ছিল ১৪।
হবিগঞ্জের লাখাইয়ের পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২১ মার্চ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। মামলায় ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।