হংকংয়ে পার্টি করা ১৩ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

হংকংয়ে পার্টি করা ১৩ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

এক চীনা কূটনীতিকের জন্মদিনের পার্টিতে অংশ নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন হংকংয়ের ১৩ সরকারি কর্মকর্তা। ওই পার্টিতে অংশ নেওয়া ১৭০ জন অতিথির মধ্যে দুইজন কোভিড-১৯ ‘পজিটিভি’।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মহামারীতে বিধিনিষেধ থাকার পরও কেন পার্টিতে অংশ নিয়েছেন তা নিয়ে ক্ষুব্ধ হংকংয়ের প্রধাননির্বাহী ক্যারি লাম ওই ১৩ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

জন্মদিনের পার্টিতে অংশ নেওয়া অতিথিদের মধ্যে হংকংয়ের নতুন আইনসভার ১৯ সদস্যও ছিলেন। পার্টিতে অংশ নেওয়া সবাইকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

যদিও দুই অতিথি ছাড়া বাকিরা পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ ‘নেগেটিভ’।

সারা বিশ্বের মত হংকংয়েও করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে লাম জানান, ওই ১৩ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে তিনি ‘বিস্তারিত তদন্তের’ নির্দেশ দিয়েছেন।


লাম বলেন, ‘‘আমি সব কর্মকর্তাকে কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু তাদের দায়িত্ব থেকে ছুটি দেওয়া হয়নি বরং কোয়ারেন্টিনের জন্য নিজেদের পাওনা ছুটি থেকে তাদের ছুটি নিতে হবে।”

রয়টার্স জানায়, হংকংয়ে চীন সরকারের নগর প্রতিনিধি উইটম্যান হাং এর ৫৩তম জন্মদিন ছিল গত সোমবার। ‍সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হংকংয়ে নুতন যে বিধিনিষেধ আরো করা হয়েছে তা গত সোমবারের পর কার্যকর হয়। কিন্তু প্রধাননির্বাহী ক্যারি লাম বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণার সময়ই বাসিন্দাদের বড় ভিড় এড়িয়ে চলতে অনুরোধ করেছিলেন।

হংকংয়ে গত ৩১ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত টানা তিন মাস স্থানীয়ভাবে নতুন করে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। ওই দিন স্থানীয়ভাবে নতুন করে একজনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়। ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রনে সংক্রমিত হয়েছেন।

তারপর আরো বেশ কয়েকজনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং তাদের সংস্পর্শে আসা শতাধিক মানুষকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে।

জন্মদিনের পার্টিতে অংশ নেওয়া জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব ক্যাসপার সুই, অভিবাসন বিষয়ক পরিচালক আউ কা-ওয়াং, পুলিশ কমিশনার রেমন্ড সুই এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে হংকংয়ে স্বাধীন কমিশনের প্রধান সিমন পেহ রয়েছেন।

এই চারজনসহ বাকি কর্মকর্তারা জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।