ঢাকায় বাম জোটের সমাবেশ

নড়াইলে সাম্প্রদায়িক হামলায় আক্রান্ত এলাকায় ভীতি এখনো কাটেনি - ‘বেশী কথা বলতে মানা’

নড়াইলে সাম্প্রদায়িক হামলায় আক্রান্ত এলাকায় ভীতি এখনো কাটেনি - ‘বেশী কথা বলতে মানা’

সারাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে আজ ১৯ জুলাই ২০২২ বিকেলে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সমাবেশে সরকারের নীরবতা, কোথাও কোথাও সম্পৃক্ততা ও বিচারহীনতার কারণেই হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা চলছে বলে অভিযোগ করেছে বাম জোট এর নেতৃবৃন্দ। 

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে তোষামোদ করছে সরকার, তাদের দাবি মেনে দেশে সাম্প্রদায়িক পরিবেশ তৈরি করছে। পাঠ্যবই সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হয়েছে। সমাজে উগ্রবাদী ধারনার বিস্তার ঘটানোর সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে সরকার।

আজ ১৯ জুলাই ২০২২, বিকেল ৫ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড আব্দুস সাত্তার এর সভাপতিত্বে এবং কমরেড নজরুল ইসলাম এর পরিচালনায় সমাবেশের বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ এর কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড জুলফিকার আলী, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড সীমা দত্ত, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড শহিদুল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড আব্দুল আলী, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্ক্সবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড বিধান দাশ।

নড়াইলে সাম্প্রদায়িক হামলার পর নড়াইল সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, ‘মানুষের মনে ভীতি দূর হয়নি। অনেকে এখনো বাড়ি ফিরে আসেননি। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে এই অবস্থা কাম্য নয়। অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াতে হবে। সবাই যাতে নাগরিকের মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। বেশ কিছু ঘটনায় দেখা গেছে ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্টে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া ফেসবুক আইডির মাধ্যমে এ ধরনের অপকর্ম সংগঠিত করা হচ্ছে। এসব ঘটনাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ঘুটি হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।’

বক্তারা আরও বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে দেখেছি সরকারি লোকজন সেখানের দখল নেবার চেষ্টা করছে। তারা ঘটনাকে আড়াল করতে চাইছে। তারা ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করছে। আমরা দেখেছি, সরকারি দলের লোকজন ‘কিছু হইনি- এমন একটা আবহ তৈরি করার চেষ্টা করছে।’ মানুষের মনে ভীতি দুর হয়নি,অনেকে এখনো বাড়ী ফেরেননি। যারা আছেন তাদেরকে বেশী কথা বলতে মানা করা হচ্ছে।

বক্তারা এই সব ধারাবাহিক ঘটনার বিচারের দাবিতে আরো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করার আহবান জানান।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।