বামজোটের বিক্ষোভ সমাবেশে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা

জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার না হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ

জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার না হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ

জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী ও স্বৈরাচারি সরকারের একতরফা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে আগামী ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। একই দিনে সারা দেশের সকল জেলায় ডিসির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করা হবে বলেও জানান বাম জোট নেতৃবৃন্দ।

আজ বিকাল ৫ টায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভের অংশ হিসেবে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাম জোট নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন নান্নুর সভাপতিত্বে এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি’র সভাপতি কমরেড শাহ আলম, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারি সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক কমরেড মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ইউসিএলবি’র কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম।  

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ববাজারে যখন তেলের দাম নিম্নমুখী সে সময়ে সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনগণের উপর মূল্যবৃদ্ধির বোঝা আরও বাড়াবে। শিল্প, কৃষি, পরিবহন থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়বে। এতে জনজীবনে চরম দুর্দশা নেমে আসবে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গত ছয় মাসে বিপিসি জ্বালানি তেল বিক্রি করে ৮ হাজার কোটি টাকা লোকসান করেছে। কিন্তু বিগত সময়ে বিশ্ববাজারে যখন তেলের দাম কম ছিল সে সময়ে তেল বিক্রি করে সরকার ৪৩ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছিল; তা দিয়েই এই ঘাটতি পূরণ করা যেত। অথচ সরকোর সে পথে না হেটে জনগণের উপরে মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপিয়ে দিল।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সরকারকে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। এবং আগামী ১৬ আগস্ট এর মধ্যে এই বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করা না হলে ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে ঘোষণা করেন।