৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা-শ্রমিকদের চলমান ধর্মঘট নিরসনে চা-শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) খালেদ মামুন চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ আলোচনা শুরু হয়।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন লাল কর্মকার, সহসভাপতি পঙ্কজ কন্দ, সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরাসহ সাতটি ভ্যালীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত আছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে সভা চলাকালে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ প্রতিটি চা-বাগানেই শ্রমিকেরা ধর্মঘটের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করছেন। এর আগে সকাল ১০টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া চা-বাগানে গিয়ে দেখা যায়, চা-শ্রমিকেরা একসঙ্গে জড়ো হয়ে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় চা-বাগানের সড়কগুলোয় অবস্থান নিয়ে সড়ক বন্ধ করে দেন তাঁরা। পরে চা-বাগানের মাঠে সমাবেশে বক্তব্য দেন চা-শ্রমিকনেতারা। এ সময় চা–শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে নেতারা বলেন, ‘আমরা সমঝোতা বৈঠকে যাচ্ছি। আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যান।’
নারী শ্রমিক রিতা হাজরা বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করতে চাই না। মালিকপক্ষ আমাদের আন্দোলন করতে বাধ্য করছেন। দাবি আদায় হলে আমরা আন্দোলন ছেড়ে দিব।’
চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, ‘চা-শ্রমিকেরা কেউ বাসায় বসে নেই। সবাই চা-বাগানে জড়ো হয়ে আন্দোলন করছেন। আমরা কেন্দ্রীয় নেতারা বিভিন্ন ভ্যালির সভাপতি-সম্পাদকদের নিয়ে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে যাচ্ছি। সেখানে সরকারের প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য এসেছেন। আমরাও আন্দোলন চাই না। একটা সুন্দর সমাধান চাই। মানসম্মত মজুরি পেলে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করব।’