শ্রীলঙ্কায় এবার তৃতীয় শিরোপা জয়ের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে গেছে পল স্মলির দল। আজ স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে তাদের সেই শিরোপা মিশন।
জাতীয় দল ও বয়সভিত্তিক পর্যায়ে যতগুলো সাফের আসর হয় তার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে সফল অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে। এই পর্যায়ে এরই মধ্যে দুইবার শিরোপা ঘরে তুলেছে কিশোর ফুটবলাররা। শ্রীলঙ্কায় এবার তৃতীয় শিরোপা জয়ের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে গেছে পল স্মলির দল। আজ সন্ধায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে তাদের সেই শিরোপা মিশন।
কলম্বোর রেসকোর্স মাঠে হচ্ছে ছয় দলের এ আসর। সর্বশেষ এই মাঠে হওয়া মাহিন্দা রাজাপক্ষে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছিল সিনিয়র জাতীয় দল। সাফে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দলেরও প্রথম লক্ষ্য ফাইনাল নিশ্চিত করা। তার জন্য শুরুটা ভালো চান অধিনায়ক ইমরান খান, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনূর্ধ্ব-২০ সাফে আমরা জিতেছি। তাই ওরা এই টুর্নামেন্টে স্বাগতিক হলেও আমরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। টুর্নামেন্টটা আমরা ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে শুরু করতে চাই।
অনূর্ধ্ব-২০ দলে থাকা ফুটবলারদের অনূর্ধ্ব-১৭-তে খেলানো নিয়ে অবশ্য সমালোচনা আছে। অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়ন হওয়া ভারত যেমন এই টুর্নামেন্টে সেই স্কোয়াডের কোনো খেলোয়াড়কেই রাখেনি। শ্রীলঙ্কা দলেও মাত্র একজন। সেখানে বাংলাদেশের সংখ্যাটা ৯। কুড়ির সাফে লঙ্কানদের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছিলেন ইমরানরা। একমাত্র গোলটি ছিল মিরাজুল ইসলামের। সেই মিরাজ শ্রীলঙ্কায়ও আছেন।
২০১১ সাল থেকে হচ্ছে কিশোরদের এই সাফ। এবার তা হচ্ছে সপ্তমবারের মতো। প্রথম আসরে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। পরের আসরে ভারত। আর সিলেটে হওয়া তৃতীয় আসরে জেতে বাংলাদেশ। তখন অবশ্য এটা অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্ট ছিল। পরের তিনটি আসর হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায়ে। এর মধ্যে বাংলাদেশ একবার চ্যাম্পিয়ন, ভারত অন্য দুইবার। সব মিলিয়ে ভারতের তিন শিরোপা, বাংলাদেশের দুটি আর একটি পাকিস্তানের। ফিফার নিষেধাজ্ঞায় থাকায় পাকিস্তান এ টুর্নামেন্টে নাম দিতে পারেনি। পরে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও সম্ভব হয়নি আর। অন্য গ্রুপের একটি ম্যাচে আজ ভুটানের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত।