শিরোনাম
চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগামীকাল শাহবাগে প্রতিবাদ সমাবেশে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দিলে দেশের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকীতে পড়বে গ্রামীণ মজুরদের কাজ, ন্যায্য মজুরির নিশ্চয়তা দিতে হবে মিরপুরে আগুনে পুড়িয়ে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিল জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করছেনা সিপিবিসহ চার বামদল জুলাই জাতীয় সনদের সর্বশেষ সংস্করণ সংশোধন না হলে স্বাক্ষর সম্ভব নয় আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার তদন্ত ও বিচার করতে হবে  মিরপুরের আনোয়ার ফ্যাশন ও কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সিপিবি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোক ও সমবেদনা চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের লিজ দিতেই অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসেছে - সিপিবি এই সনদে সংবিধানের চার মূল নীতিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে

নিউজিল্যান্ডে সৈকতে আটকা পড়ে তিন দিনে ৫০০ তিমির মৃত্যু

নিউজিল্যান্ডে সৈকতে আটকা পড়ে তিন দিনে ৫০০ তিমির মৃত্যু

নিউজিল্যান্ডে কয়েক দিনেই শত শত পাইলট তিমির মৃত্যু হয়েছে। মাত্র তিন দিনের মধ্যে দেশটির প্রত্যন্ত চ্যাথাম দ্বীপের সমুদ্রসৈকতে আটকা পড়ে প্রায় ৫শ পাইলট তিমির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর আগে চ্যাথাম দ্বীপে ২৫০ তিমির মৃত্যু হয়। তিনদিন পর ওই একই দ্বীপে আরও ২৪০ তিমির মৃত্যু হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের মূল ভূখণ্ড থেকে বেশ দূরে ওই দ্বীপটি। সেকারণে সেখানে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। এছাড়া হাঙরের আতঙ্কের কারণে সেখানকার পরিস্থিতি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

এর আগে ২০১৭ সালে প্রায় ৭শ পাইলট তিমি সেখানে আটকা পড়ে। একসঙ্গে এত তিমি কেন সমুদ্র তীরে আটকা পড়ছে বা মারা যাচ্ছে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। বিজ্ঞানীরাও এর সঠিক কারণ বের করতে পারেননি।

ওই এলাকায় প্রচুর হাঙ্গর থাকার কারণে কর্তৃপক্ষ তিমিগুলোকে সঠিক সময়ে উদ্ধার করতে পারেনি। মঙ্গলবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওই ৫শ তিমির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। পাইলট তিমি মূলত ডলফিন পরিবারেরই সদস্য।

তিনদিন আগেই ওই দ্বীপের সমুদ্রসৈকতে আটকা পড়ে প্রায় ২৫০ পাইলট তিমির মৃত্যু হয়। সে সময় দেশটির কনজারভেশন বিভাগ জানায়, তিমিগুলো দ্বিপটির উত্তরপশ্চিম দিকে আটকা পড়েছিল।

এক বিবৃতিতে জানানো হয়, হাঙরের আক্রমণের ঝুঁকি থাকায় এগুলো পুনরায় ভাসিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ মানুষ এবং তিমি উভয়ের জন্যই হাঙর বেশ বিপজ্জনক।

এর আগেও বহুবার চ্যাথাম দ্বীপে আটকা পড়ে অনেক তিমির মৃত্যু হয়েছে। ১৯৮১ সালে ওই দ্বীপে আনুমানিক এক হাজার তিমি আটকা পড়ে। এছাড়া মাত্র দুই সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত পশ্চিম তাসমানিয়ায় প্রায় ২শ পাইলট তিমির মৃত্যু হয়। যদিও এসময় ৪৪টিকে পানিতে ভাসিয়ে দিতে সক্ষম হয় সেখানকার কর্তৃপক্ষ।

প্রথম দিকে মনে করা হয়েছিল যে, আটকা পড়া অর্ধেক তিমিকে হয়তো বাঁচানো যাবে। কিন্তু মাত্র ৩৫টি তিমি শেষ পর্যন্ত বেঁচে গেছে। আটকে পড়া তিমিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে কম্বল দিয়ে ঢেকে প্রচুর পানি ঢালতে থাকেন স্থানীয় লোকজন।

পাইলট তিমি অত্যন্ত সামাজিক স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং দলগত ভাবে থাকার কারণে বেশ সুপরিচিত। একটি বড় দলে তারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করে।