ঢাকায় তিন থেকে ছয় ঘন্টা লোডশেডিং

ঢাকায় তিন থেকে ছয় ঘন্টা লোডশেডিং

বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় গত ১৮ জুলাই। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ জুলাই দেশজুড়ে লোডশেডিং শুরু হয়।

চলতি অক্টোবর মাস থেকে লোডশেডিং পুরোপুরি কমবে বলে জানিয়েছিল সরকার। কিন্তু তা তো হয়ইনি; বরং লোডশেডিং আরও বেড়েছে। প্রচণ্ড গরম, সেই সঙ্গে লোডশেডিং—দুই মিলিয়ে রাজধানীবাসীর নাকাল অবস্থা। দেশের অন্যত্রও পরিস্থিতি নাজুক।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র বলছে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিনে সর্বোচ্চ ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং করা হয়েছে। এখন তা বেড়ে হয়েছে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত, যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে এখন। ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এটি নিশ্চিত করেছেন।

আজ মঙ্গলবারও রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকায় তিন থেকে চার ঘণ্টা করে লোডশেডিং হবে। কোনো কোনো এলাকায় আবার ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে।

ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিকাশ দেওয়ান বলেন, প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট ঘাটতি হচ্ছে। গত তিন মাসে এমন পরিস্থিতি হয়নি।

কোথাও কোথাও এখন দিনে পাঁচবার লোডশেডিং করতে হচ্ছে। কিছুদিন ধরে পরিস্থিতি খুব খারাপ যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডেসকোর এমডি আমির কাউসার আলী। তিনি  বলেন, দিনে ৩০০ মেগাওয়াটের মতো সরবরাহঘাটতি হচ্ছে। কোনো কোনো ফিডারে (নির্দিষ্ট গ্রাহক এলাকা) দিনে চারবার পর্যন্ত লোডশেডিং করতে হচ্ছে।