পাভেল পার্থ'র কলাম

ঘুইঙ্গাজুরী হাওরে বিনাশী উন্নয়ন কেন?      

ঘুইঙ্গাজুরী হাওরে বিনাশী উন্নয়ন কেন?      

দুনিয়ার এক বৃহৎ ব-দ্বীপ নদীমাতৃক বাংলাদেশ। আর এই ব-দ্বীপের মোট আয়তনের ছয় ভাগের এক ভাগ জুড়েই হাওর জলাভূমি। বাংলাদেশে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ড দেশে ৪১৪টি হাওর আছে বলে তাদের এক দলিলে উল্লে¬খ করে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে বাংলাদেশে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৪২৩ টি হাওর রয়েছে। সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৬০টি উপজেলার ৫৩৯টি ইউনিয়নে বিস্তৃত হাওরাঞ্চলে কয়েক কোটি মানুষের বাস। ধান আর মাছ দিয়ে হাওর বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। রাধারমণ, হাসনরাজা, শাহ আবদুল করিম, শীতালংশাহ, আরকুমশাহ, দূরবীন শাহ, উকিল মুন্সী কিংবা জালালের মতন কারিগরদের জ্ঞান ও মূর্ছনায় নিরন্তর প্রাণ পায় বাংলাদেশ। কয়লা, পাথর, বালি, গ্যাস, তেল সরবরাহ করে হাওর। জলবায়ু-দুর্গত সময়ে হাওরের পরিবেশগত অবদান খুবই গুরুত্ববহ। এখানেই আছে দুনিয়ার দুর্লভ মিষ্টিপানির জলাবনের অবশেষ চিহ্ন গুলো। দেশকে এতো যে বিলায়, সেই হাওরের দুর্দশা আর কাটেনা। রাষ্ট্র হাওরের জল-দানা আর সুরে বাঁচে, অথচ নির্দয়ের মতো হাওরকে বারবার বঞ্চিত করে রাখে। হাওরের প্রকৃতি ও সংস্কৃতি আমাদের অধিপতি উন্নয়নের মাথায় থাকে না। তাই হাওর ছিন্নভিন্ন করে মহাসড়ক বানানো হয়, জল-মাটির জটিল সংসার চুরমার করে তথাকথিত পর্যটনের বিলাসিতা তৈরি হয়। যখন একের পর এক জমিনবোঝাই ফসল নিয়ে হাওর তলায় কিংবা তীব্র জলাবদ্ধতা তৈরি হয় তখন আবার আমাদের হুঁশ হয়। আমরা বলি হাওরের বুকে ‘অপরিকল্পিত উন্নয়ন করা ঠিক হয়নি’। কিন্তু আমাদের নির্দয় উন্নয়নের ক্ষতচিহ্ন আর দগদগে ঘাগুলো হাওরের শরীরে রয়েই যায়। আমাদের অধিপতি উন্নয়ননীতি বদলায় না। কারণ এই নীতি বিশ্বায়িত নয়াউদারবাদী বাহাদুরি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই নীতি কেবলমাত্র ছিঁড়েখুঁড়ে মুনাফার ভাগাড় বানায়। মানুষকে প্রকৃতি ও সংস্কৃতি বিচ্ছিন্ন করে তুলে। আর তাই হাওরের বুকে বিনাশী উন্নয়নের কোপ পড়লেও আমরা চিৎকার করি না। নেত্রকোণা থেকে সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার থেকে সিলেট দেশের হাওর বাস্তুতন্ত্র নিরাপদে নেই। টাঙ্গুয়ার, শনির, দেখার, হাকালুকি, হাইল, সজনার কিংবা ঘুইঙ্গাজুরী হাওর কোনোটাই সুরক্ষিত নয়। হাওরের মূল সমস্যা দ্বিমুখী। একটি সমস্যা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নীতি ও স্থানীয় ক্ষমতার রাজনীতির সাথে সম্পর্কিত। অন্যটি আন্ত:রাষ্ট্রিক, যার সাথে ভারত-বাংলাদেশ অভিন্ন নদীতর্কসহ নানা কর্পোরেট উন্নয়ন নৃশংসতা জড়িয়ে আছে। কোনো সমস্যা সমাধানেই রাষ্ট্রকে হাওরমুখী হতে দেখিনি। এর ফলে কী ঘটছে? প্রতিনিয়ত হাওর নিখোঁজ হচ্ছে। হাওরের প্রকৃতি ও সংস্কৃতি নিদারুণভাবে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। নামেমাত্র এখন স্থান আর নাম হিসেবে হাওরের ভূমিগত অবস্থান আছে, কিন্তু হাওরের সেই বাস্তুতন্ত্র আর বৈচিত্র্য উধাও হচ্ছে প্রতিনিয়ত। জলবায়ু সংকটের বিরূপ প্রভাব থাকলেও হাওরের এই সর্বনাশের জন্য মূলত উজান-ভাটির হাওরবিনাশী উন্নয়ন তৎপরতাই দায়ী।

সম্প্রতি হবিগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ ঘুইঙ্গাজুরী হাওরে ‘শিল্পাঞ্চল সম্প্রসারণের’ নামে আবারো এমন হাওর-বিনাশী অপতৎপরতা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে দৈনিক দেশ রূপান্তর ‘হাওরের বুকে শিল্পের থাবা’ নামে একটি প্রতিবেদন ছেপেছে (সূত্র: ১/১০/২৩)। প্রতিবেদনটি জানায়, ঘুইঙ্গাজুরী হাওরে মুরগির ডিম, কম্পোস্ট সার, ফ্লাওয়ার মিল, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানা গড়ে ওঠেছে। কিন্তু টেকসই বর্জ্যব্যবস্থাপনার অভাবে কারখানার বর্জ্যরে দুর্গন্ধ ও দূষণে চারপাশ অতিষ্ঠ। ‘কাজী ফার্ম’, ‘আকিজ গ্রুপ’ এর মতো দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের নাম আছে প্রতিবেদনটিতে। প্রতিবেদনটি জানায়, হাওরের কৃষিজমি নানাভাবে কিনে মাটি ভরাট করে শ্রেণি পরিবর্তন করে গড়ে ওঠছে এসব শিল্পবাণিজ্য। কৃষিজমিতে শিল্প বা আবাসিক এলাকা তৈরির জন্য জমি কেনার আজে জেলা প্রশাসকের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) সরেজমিন এসব জমি পরিদর্শন করেন এবং কৃষি, মৎস্য ও বনবিভাগের মতামত পাওয়ার পর কোনোধরণের অভিযোগ না থাকলে জেলা প্রশাসক সবকিছু বিবেচনা করে অনুমোদন দেন। কিন্তু উল্লিখিত প্রতিবেদনটি জানায়, হবিগঞ্জে হাওরের কৃষিজমি কেনার ক্ষেত্রে সরকারি কোনো অনুমোদনের ‘তোয়াক্কা’ করছেন না শিল্পপতিরা। আবার কেউ জমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসনকেও তাদের পক্ষেই প্রতিবেদন দিতে হয়। অবশ্যই আমাদের শিল্পায়ন দরকার। কিন্তু কোনোভাবেই হাওরকে খুন করে সেই শিল্পায়ন আমরা চাইনা। কৃষিজমির শ্রেণি পরিবর্তন করে জলাভূমির বাস্তুতন্ত্র চুরমার করে উন্নয়ন আমাদের দরকার নাই। কারণ এই ধরণের বিপদজনক উন্নয়ন কেবলমাত্র মুনাফার বর্জ্য ভাগাড় তৈরি করলেও সামগ্রিকভাবে আমাদের এক সংহারী ভবিষ্যতের খাদে দাঁড় করাবে। হাওরাঞ্চলে শিল্পায়ন করবার জন্য আমাদের সুস্পষ্ট নীতিগত পরিকল্পনা নিতে হবে। বিশেষ করে হাওরের প্রকৃতি ও সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে জোনিং করতে হবে। হাওরের কৃষিজমি ও জলাভূমি বিনষ্ট করে এই শিল্পায়ন করা যাবে না।

হাওরাঞ্চলের ভেতর হবিগঞ্জ নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়ার বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচঙ্গ গড়ে ওঠেছে এখানকার জলাভূমির বিন্যাসকে কেন্দ্র করেই। এখানকার হাওর-জলাভূমির সাথে মিশে আছে সুতাং, খোয়াই, কোরাঙ্গীর মতো আন্ত:রাষ্ট্রিক নদীগুলো। হাওরাঞ্চলের পূর্বপ্রান্তে ত্রিপুরা সীমান্তে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অরণ্য রেমা-কালেঙ্গা। এই বনের ময়নাবিলেই টিকে আছে দেশে সবচে বড় শকুনের দল। ঘুইঙ্গাজুরী হাওরেই ১৯৩৪ সালে গড়ে ওঠেছিল পৃথিবীর প্রথম গভীর পানির ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এখানেই দেশের বৃহত্তম জলাবন লক্ষীবাওর এখনো টিকে আছে। হবিগঞ্জের ১৩টি বৃহৎ হাওরের মোট আয়তন ৭৩ লাখ ৫৭৯ একর। এর ভেতর ঘুইঙ্গাজুরী অন্যতম। বাহুবল, নবীগঞ্জ, বানিয়াচঙ্গ এবং সদর উপজেলায় বিস্তৃত এই হাওর। এই হাওরের সাথে আন্ত:রাষ্ট্রিক কোরাঙ্গী নদীর সম্পর্ক আছে। ঘুইঙ্গাজুরী হাওরের আয়তন নিয়ে তর্ক ও ধোঁয়াশা আছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘হাওর ও জলাভূমি অধিদপ্তর’ প্রকাশিত ২০১৬ সালের ‘ক্লাসিফিকেশন অব ওয়েটল্যান্ড অব বাংলাদেশ (ভলিউম-৩)’ শীর্ষক প্রকাশনায় ঘুইঙ্গাজুরী হাওরের মোট আয়তন দেখানো হয়েছে ৬৯ হাজার ৮২৯ একর ৩৭ শতক। এর ভেতর বাহুবল উপজেলায় ৩০ হাজার ১৫৬ একর ২০ শতক, বানিয়াচঙ্গ উপজেলায় ১৭ একর ২০ শতক, হবিগঞ্জ সদরে ১৫ হাজার ৯০১ একর ৮৬ শতক এবং নবীগঞ্জে ২৩ হাজার ৭৫৩ একর ৯৯ শতক। কিন্তু কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক হিসাবে এই হাওরে জমির পরিমাণ ১৭ হাজার ৮৩৩ একর। আবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবে ৬৪ হাজার ২২০ একর। জেলা মৎস্য অফিসের হিসাবে আয়তন ১২ হাজার ৩৯৯ একর ৪ শতক। ২০১৭ সালের পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে ১৬ হাজার ৪২৯ একর। হাওরের আয়তন এবং স্থাননাম বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই একধরণের আড়াল ও অস্পষ্টতা আছে। হাওরের নাম-পরিচয়-নির্ঘণ্ট নিয়ে এখনো তর্ক আছে। এর অন্যতম কারণ অধিপতি উন্নয়নের কাছে হাওর কেবলমাত্র ‘স্থান বা জায়গা’, প্রকৃতি ও সংস্কৃতির জটিল বাস্তুতন্ত্র নয়। নয়াউদারবাদী মানসিকতায় হাওর মানে বাণিজ্যিক মৎস্যচাষের জলমহাল কিংবা পরিবেশবিনাশী শিল্পায়ন গড়ে তোলার জায়গা। হাওরকে দেখার এই প্রবল উন্নয়নচিন্তা বাতিল না হলে হাওরের মতো বিশেষ এই প্রতিবেশব্যবস্থাকে আমরা খুব দ্রুতই হারিয়ে ফেলব।

কী হবে যদি হাওর খুন করে শিল্পায়ন করা হয়? হয়তো আমরা হারিয়ে ফেলব বুনোগোলাপ, মনকাঁটা, করচ, বরুণ, বনতুলসি কিংবা বিন্যাছুবা। কিংবা হারাব পরিযায়ী পাখিদের বিচরণস্থল। হয়তো হারাব গভীর পানির ধান কিংবা ধামাইল গীত। কিন্তু তাতে কীইবা হয়? এত সহজে এক লহমায় আমরা এর উত্তর দিতে পারিনা। কারণ প্রাণ-প্রকৃতির এসব ‘হারিয়ে যাওয়া’ প্রজাতি হিসেবে মানুষের অস্তিত্বের সাথে জড়িত। হোমো স্যাপিয়েন্স মানুষ বেঁচে থাকার জন্য শতভাগ অন্যের ওপর নির্ভরশীল। আজ অকৃতজ্ঞের মতো প্রাণ-প্রকৃতিকে নিখোঁজ করে এই উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষ কীভাবে বেঁচে থাকবে আমরা কেউ জানিনা। কিন্তু আমরা বলতে চাই এটি থামানো জরুরি। কারণ ভৌগলিক আয়তনে ছোট হলেও বাংলাদেশের সমতল, গড়, বরেন্দ্র, চর, দ্বীপ, উপকূল, পাহাড়ের মতো হাওরের বাস্তুতন্ত্রের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা জরুরি। হাওরের প্রাণ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় হাওরবাসী জনগণ সমন্বিত হাওর নীতিমালা ও মহাপরিকল্পনার দাবি জানিয়ে আসছেন সুদীর্ঘকাল। ২০১২ সনের এপ্রিলে তিন খন্ডের হাওর উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা তৈরি হয়। কিন্তু ঐ মহাপরিকল্পনায় হাওরবাসী জনগণের সামগ্রিক অংশগ্রহণ ছিল না। নিদারুণভাবে সেই মহাপরিকল্পনায় হাওর উন্নয়নে বেসরকারীকরণ ও করপোরেট পুঁজিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আর সেই উন্নয়নচিন্তার অংশ হিসেবেই আজ হাওরে বৈধ হয়েছে কর্পোরেট পর্যটন এবং প্রাণবিনাশী উন্নয়ন। এসবের ভেতর দিয়ে নয়াউদারবাদী ব্যবস্থাই কেবলমাত্র বৈধ হচ্ছে, কোনোভাবেই হাওরের প্রকৃতি ও সংস্কৃতি সুরক্ষিত থাকছে না।

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য ২০১০ সনে প্রণীত অর্থনৈতিক অঞ্চল আইনে বলা হয়েছে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অথবা উক্ত অঞ্চলে অবকাঠামো যেমন- সড়ক, ব্রীজ ইত্যাদি নির্মাণের জন্য কোন ভূমি প্রয়োজন হইলে সরকার উক্ত ভূমি Acquisition and Requisition of Immovable Property Ordinance, 1982 (Ordinance No. II of 1982) এর অধীন অধিগ্রহণ করিতে পারিবে। কিন্তু হাওরাঞ্চলে কৃষিজমি ও জলাভূমি বিনষ্ট করে শিল্পায়ন করছে বিভিন্ন কোম্পানি, জনগুরুত্ব বিবেচনা করে রাষ্ট্র এসব করছে না। তাহলে স্থানীয় প্রশাসন এবং কর্তৃপক্ষ হাওরের পাশে না দাঁড়িয়ে বিনাশী শিল্পায়নকে কেন বৈধতা দিচ্ছেন? দেশে যেখানেই কৃষিজমি দখল করে শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেছে সেখানেই ব্যাপক দূষণ ঘটেছে। চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জে এই দূষণ তীব্র। গবেষণায় গাজীপুরের মতো শিল্পঘন অঞ্চলের মাটি ও পানিতে ব্যাপক দূষণ লক্ষ্য করা যায়। শিল্পাঞ্চলের আশপাশের মাটিতে ব্যাপক পরিমাণে আর্সেনিক, সীসা ও ম্যাঙ্গানিজসহ নানা ধাতুর ক্ষতিকর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। দেখা গেছে অধিকাংশ কলকারাখানার বর্জ্যব্যবস্থাপনা নেই এবং কৃষিজমিতে সরাসরি বিপদজনক রাসায়নিক বর্জ্য জমা হয়। এ নিয়ে জমিমালিকেরা নানাসময়ে আপত্তি তুলেছেন, মামলা মোকদ্দমা হয়েছে। কিন্তু কৃষিজমিনে শিল্পদূষণ ঘটছেই। এতে মাটি নষ্ট হচ্ছে এবং ফসলের উৎপাদনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে। ঘুইঙ্গাজুরী হাওরেও এই শিল্পদূষণ শুরু হয়েছে। দূষণ ও দখলের হাত থেকে আমাদের হাওর জলাভূমি সুরক্ষায় জাগতে হবে, জাগিয়ে রাখতে হবে হাওরভাটির জীবন। ঘুইঙ্গাজুরী হাওরের একটি মৌজার নাম সমুদ্রফেনা। আর এই মৌজার নামেই একটি গভীর পানির ধানের নাম হয়েছে সমুদ্রফেনা। লাখাই ধানের নামে হবিগঞ্জের লাখাই। হাওরের জল, মাটি, ধান, মাছ, গীত, করচবাগ সবনিয়েই সুরক্ষিত ও বিকশিত হোক ঘুইঙ্গাজুরী হাওরের প্রাণ।

 

পাভেল পার্থ

লেখক, গবেষক, প্রতিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ।

ই-মেইল: [email protected]