হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনের অপব্যবহার করে মামলা দায়ের করা হয়ে থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছুদিন ধরে এ বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগে আগ্রহ কমতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অগ্রগতির দিকে নজর রাখছে।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার তার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা এখনো তার (ড. ইউনূসের) বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছি।‘বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে আমরা একইসঙ্গে শ্রম ও দুর্নীতি বিরোধী আইনের অপব্যবহারের সম্ভাবনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছি, কারণ এতে দেশটির আইনের শাসন-পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগে আগ্রহ কমতে পারে’, এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন মিলার।
একইসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে মিলার বলেন, ‘এই দুই সফরের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, আমি ইতোমধ্যে মোদির সফর প্রসঙ্গে কথা বলেছি। সে বক্তব্যের সঙ্গে নতুন কিছু যোগ করার নেই। আর চীন সফরের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, দেখুন, আমরা জানি বিভিন্ন দেশ চীনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়। আমরাও চীনের সঙ্গে আলোচনা করি। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন) নিজেও দুইবার চীন সফর করেছেন। সুতরাং এ বিষয়েও আমার আর কোনো মন্তব্য নেই।’