সিপিবি ঢাকা দক্ষিণের বিক্ষোভ সমাবেশ

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি বাতিল ও সীতাকুণ্ড বিম্ফোরণে দায়ীদের শাস্তি দাবি

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি বাতিল ও সীতাকুণ্ড বিম্ফোরণে দায়ীদের শাস্তি দাবি

সীতাকু- বিস্ফোরণের সুষ্ঠু তদন্ত, দায়ীদের শাস্তি, সুচিকিৎসা ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা এবং আবারও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ৬ জুন ২০২২, সোমবার ঢাকার পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর কমিটি।

সিপিবি ঢাকা দক্ষিণ কমিটির অন্যতম সদস্য কমরেড আবু তাহের বকুলের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদকম-লীর সদস্য কমরেড আক্তার হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্টির সভাপতিম-লীর অন্যতম সদস্য কমরেড শাহীন রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য কমরেড আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, কমরেড রাগীব হাসান মুন্না, ঢাকা দক্ষিণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড জলি তালুকদার, ঢাকা দক্ষিণ কমিটির সম্পাদকম-লীর সদস্য কমরেড সেকান্দার হায়াত, ঢাকা দক্ষিণ কমিটির অন্যতম সদস্য কমরেড শংকর আচার্য, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি কমরেড আবুল হাসেম কবির প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার লুটপাটের দায় সাধারণ মানুষের ওপরে চাপাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। তারা বলেন, গণবিরোধী সরকার আর লুটেরা সিন্ডিকেটের যোগসাজশে ভোক্তা ও জনগণের পকেট কাটার মহোৎসব চলছে। দুর্নীতি ও অপচয় বন্ধ করলে গ্যাসের দাম কমানো সম্ভব। তারা বলেন, ঢাকাসহ যেসব এলাকায় মিটার নেই সেখানে দুই চুলার গ্রাহক গড়ে ৫০০ টাকার গ্যাস পুড়ালেও ৯৭৫ টাকা বিল দিচ্ছে।

সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, সর্বব্যাপী লুটপাটের ধাক্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক আগেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। গণবিরোধী সরকার লুটেরা, মুনাফাখোর, মজুতদারদের স্বার্থের ‘পাহারাদার’ হিসেবে ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেটকে রক্ষা করে চলেছে। সাধারণ মানুষের প্রতি সরকার কোনো দায়বদ্ধতা দেখাচ্ছে না। সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, শাসকদল মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে নয়া উদারনীতিবাদ ও মুক্তবাজার দর্শনের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করছে। বক্তারা গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানান।

সীতাকু- বিস্ফোরণের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে মালিকদের অবহেলায় মানুষের মৃত্যু নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। প্রতিটি ঘটনার পর আলোড়ন সৃষ্টি হলেও শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের জীবন ও কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না। যার প্রেক্ষিতেই আবারও ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। বক্তারা বলেন, এর আগে ঢাকার নিমতলির চুড়িহাট্টা, নারায়ণগঞ্জের সেজান জুস, আশুলিয়ার তাজরিনসহ বহু কারখানায় মুনাফার লোভের আগুনে পুড়ে মানুষ মরেছে কিন্তু তার কোনো বিচার হয়নি। বক্তারা সীতাকু- বিস্ফোরণকে হত্যাকা- উল্লেখ করে বলেন, সরকারি দলের আঞ্চলিক পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতার লোভের আগুনে সীতাকু- জ্বলছে।