চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর ধ্বংসস্তূপ থেকে একজনের পুড়ে যাওয়া হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৩ জুন) দুপুর আড়াইটায় মরদেহের অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৯ জনে।
সীতাকুণ্ড থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আশরাফ সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার (১২ জুন) বিস্ফোরণে দগ্ধ নুরুল কাদেরের (২২) মৃত্যু হয়। ওইদিন দুপুর ১টা ৫৭ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর পার্ক ভিউ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
ওইদিন ভোরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফায়ার সার্ভিসের সদস্য গাউসুল আজম।
গত ৪ জুন (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। রাত ১০টার পর আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ১২টার পর থেকে আসতে থাকে মৃত্যু খবর। সময় যত গড়াতে থাকে, মৃতের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকে।
এ দুর্ঘটনায় সবশেষ ৪৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৪৯ জনের মধ্যে ২৯ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ২৭ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুইজনের ময়নাতদন্ত সাপেক্ষে রোববার হস্তান্তর করা হবে। এখনো ১৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের মধ্যে এখনো ৯৯ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা-শিশু হাসপাতাল, পার্কভিউ হসপিটালসহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটেও ভর্তি অনেকে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।