শিরোনাম
গণ-অভ্যুত্থানে উত্তরায় আহত ১৪৬৭ এবং শহীদ ৮২ জন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার, দুর্নীতি ও পাচারকৃত টাকা উদ্ধার এবং রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি বামজোটের আমরা ফেসবুক গরম রাখতে ভালবাসি কালচারাল পলিটিক্স উছিলা সিনেমা মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীত ও সংবিধানের মূল ভিত্তির উপর আঘাতকারীদের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান সিপিবির প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ'র স্মরণ সভা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান’এ উত্তরার শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত উত্তরায় সন্তানের নিরাপত্তাহীনতায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকবৃন্দের শোক সমাবেশ কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের পাশাপাশি রাষ্ট্রের সংস্কারের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের ‘‘স্থায়িত্বশীল নগরায়ন: সমস্যা ও সমাধান’’ বিষয়ক বাপা’র পুস্তিকা উম্মোচন

রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত স্মরণে উদীচীর আবৃত্তি সন্ধ্যা

রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত স্মরণে উদীচীর আবৃত্তি সন্ধ্যা

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টচার্য্য স্মরণে আবৃত্তি সন্ধ্যা আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঢাকা মহানগর সংসদ। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ আবৃত্তি সন্ধ্যা। আবৃত্তি হোক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার—এই ধারণাকে মননে ধারণ করেই এই নিয়মিত আয়োজন করছে উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদ।

উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি নিবাস দে-এর সভাপতিত্বে আবৃত্তি সন্ধ্যার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আরিফ নূর। এরপর একে একে আবৃত্তি পরিবেশন করেন উদীচীর বাচিক শিল্পীরা। তাদের আবৃত্তি পরিবেশনার ফাঁকে ফাঁকে আলোচনা করেন উদীচীর নেতৃবৃন্দ। রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্তের সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান। আবৃত্তি সন্ধ্যায় “এখানে শুকনো পাতায় আগুন জ্বালো” শীর্ষক বৃন্দ পরিবেশন উপস্থাপন করেন উদীচীর বাচিক শিল্পীরা। এটি গ্রন্থনা করেছেন শিশির আচার্য এবং নির্দেশনা দিয়েছেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের আবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক শিখা সেনগুপ্তা।

এছাড়া, একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন মনীষা মজুমদার, জান্নাতুল ফেরদৌস অনি, শেখ আনিসুর রহমান, নাজমুল আজাদ, শুদ্ধ সত্ত্ব দে, মিছবাহ ফারাজী, সৈয়দা রত্না, অনুপ পোদ্দার, আতিকুজ্জামান মির্জা এবং সুমিত পাল। আবৃত্তি সন্ধ্যা সঞ্চালনা করেন শিখা সেনগুপ্তা। আলোচকরা বলেন, বাংলা সাহিত্যের তিন মহীরুহ রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্তই মূলত বাঙালি জাতির মনন ও চেতনা গঠনে মূল ভূমিকা রেখেছেন। তাদের রচনায় বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে অসাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কথা। তাদের রচনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও বারবার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। অসাম্প্রদায়িক, মৌলবাদমুক্ত, ধর্মান্ধতামুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন নিয়ে উদীচীর সাংস্কৃতিক লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, তারও মূল ভিত্তি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টচার্য্য-এর রচনা।