তামিমের ১০ সেঞ্চুরি

২য় দিন শেষে বাংলাদেশ ৭৯ রানে পিছিয়ে, হাতে ৭ উইকেট

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ ২০২২


২য় দিন শেষে বাংলাদেশ ৭৯ রানে পিছিয়ে, হাতে ৭ উইকেট

চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৩১৮। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের রান পেরিয়ে যেতে প্রয়োজন আর মাত্র ৮০ রান।

ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরিতে ১৩৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে হাতে ক্র্যাম্প করায় আপাতত অভিযানে বিরতি দেন তামিম ইকবাল। আবার ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংস আরও বড় করার সুযোগ তার আছে। বাংলাদেশের শুরুর জুটিতে শতরান না পাওয়ার দীর্ঘদিনের আক্ষেপ মিটিয়ে মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে ১৬২ রান যোগ করেন তামিম।

জয়ের বিদায়ের পর শান্ত ও মুমিনুলের ব্যর্থতায় চোখ রাঙাচ্ছিল আরেকটি ধস। তবে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে আবার রানের সৌধ গড়ে তুলতে থাকেন তামিম, মুশফিকুর রহিম ও লিটনরা।

চা বিরতির পর তামিম আর মাঠে নামেননি। মুশফিক ও লিটনের দৃঢ়তায় সেশ সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। দুজনই পেরিয়ে গেছেন ফিফটি।

তামিম ফিফটি করেন ৭৩ বলে। ৪৮ রানে ১৯ বল আটকে থাকার পর জয় ফিফটিতে পা রাখেন ১১০ বলে। দুজনের জুটি পেরিয়ে যায় শতরান। ৫ বছরের বেশি সময়ে ৬১ ইনিংস পর উদ্বোধনী জুটিতে একশ ছুঁতে পারে বাংলাদেশ।

ফিফটির পরপরই অবশ্য ধৈর্য হারান জয়। লেগ সাইডে বেশ কজন ফিল্ডার নিয়ে তার বুক ও কোমর সোজা বোলিংয়ের পরিকল্পনা নেয় শ্রীলঙ্কা। আসিথা ফার্নান্দোর বলে একবার সেই ফাঁদে পা দেন জয়। কিন্তু ফাইন লেগ সীমানায় সহজ ক্যাচ ছাড়েন লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। কোনো উইকেট না হারিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। লাঞ্চের পরপর সেই আসিথার শরীর তাক করা বলেই উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন জয় (১৪২ বলে ৫৮)।

গোটা দিনে বাংলাদেশের জন্য শঙ্কার সময়টুকু আসে এরপরই। কাসুন রাজিথার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আলগা শটে আউট হন শান্ত। রাজিথারই ভেতরে ঢোকা বলে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বোল্ড মুমিনুল।

তামিম এবং মুশফিকের সামনে একটি মাইলফলক অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫ হাজার রানের মাইলফলক আর স্রেফ ১৯ রানের দূরত্বে তামিমের। ৫৩ রানে অপরাজিত মুশফিকের প্রয়োজন আর মাত্র ১৫ রান। 

লিটন যথারীতি ছিলেন একটু বেশি রোমাঞ্চপ্রিয়। ৩৩ রানে একবার জীবন পেয়েছেন। লঙ্কানদের সেটির খেসারতও বুঝিয়ে দিয়ে তিনি অপরাজিত ৮ চারে ৫৪ রানে।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৩৯৭

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১০৭ ওভারে ৩১৮/৩ (জয় ৫৮, তামিম ১৩৩ (আহত অবসর), শান্ত ১, মুমিনুল ২, মুশফিক ৫৩*, লিটন ৫৪*; বিশ্ব ৮-০-৪২-০, আসিথা ১৬-২-৫৫-১, রমেশ ৩১-৮-৮৩-০, এম্বুলদেনিয়া ২৭-৬-৬২-০, ধনাঞ্জয়া ১৩-২-৩৯-০, রাজিথা ১১-৪-১৭-২, কুসল ১-০-৮-০)