সিপিবি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড বারীণ দত্ত কমরেড বারীণ দত্ত স্মরণে সিপিবির আলোচনা সভা

ভোটাধিকার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অগ্রসর করা ও নীতিনিষ্ঠ রাজনৈতিক পতাকা ধরে এগুতে হবে - সিপিবি

ভোটাধিকার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অগ্রসর করা ও নীতিনিষ্ঠ রাজনৈতিক পতাকা ধরে এগুতে হবে - সিপিবি

২০ অক্টোবর ২০২৩ পুরানা পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড বারীণ দত্ত (আব্দুস সালাম)’র ৩০তম প্রয়াণ দিবসের আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ কমরেড বারীণ দত্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, ভোটাধিকার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অগ্রসর করা ও নীতিনিষ্ঠ রাজনৈতিক পতাকা ধরে এগুতে হবে। শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এসব কমরেডদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।

সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা.দিবালোক সিংহ, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি কমরেড শামসুজ্জামান হীরা। সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মানবেন্দ্র দেব।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, এদেশে মেহনতি মানুষের মুক্তির আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বারীণ দত্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়ন-কমিউনিস্ট পার্টির গেরিলা বাহিনী গঠনের পিছনে তার উদ্যোগ ছিল গুরুত্বপূর্ণ। নানকার বিদ্রোহ সংগঠিত করাসহ কৃষক আন্দোলনে তার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, অগ্নিযুগের বিল্পবী কমরেড বারীণ দত্ত তার জীবনের শেষ পর্যন্ত এ দেশের শ্রমিক-মেহনতি মানুষের মুক্তির সংগ্রাম করে গেছেন। কমরড বারীণ দত্ত তার জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের মুক্তির সংগ্রামে, তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, নানকার বিদ্রোহ এবং মুক্তিযুদ্ধে আমরা জয়ী হতে পেরেছি। আমাদের তরুণ সমাজকে তাদের আদর্শকে ধারণ করে লড়াই-সংগ্রামকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, এখনকার শাসকশ্রেণি তাদের অবদান জনগণকে জানতে দেয় না। মেহনতি মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড বারীণ দত্তের অবদান গুরুত্বের সাথে স্মরণ করা হবে।

নেতৃবৃন্দ দেশের বর্তমান সংকট তুলে ধরে বলেন, চলমান দুঃশাসন হটাতে হবে। ভোটাধিকার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অগ্রসর করতে হবে। এজন্য নীতিনিষ্ঠ রাজনৈতিক পতাকা ধরে এগিয়ে জনগণকে সংগঠিত করে গণআন্দোলন-গণসংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।

সভা শুরুর আগে কমরেড বারীণ দত্তের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান হয় এবং ১ মিনিট নীরবতা পালন ও রেড স্যালুট জানান হয়।