শিরোনাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন নিত্যপণ্যের দাম কমানো, রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে গাইবান্ধায় বাম জোটের বিক্ষোভ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জরুরী পদক্ষেপের দাবি বাম জোটের জ্বালানি খাতে এখনই ৪০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব খাওয়ার স্যালাইনের সহ-উদ্ভাবক বাংলাদেশের বন্ধু রিচার্ড ক্যাশ মৃত্যু বরণ করেছেন বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যাবে তিনবার  কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে পদত্যাগের আলটিমেটাম  বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত টাকা ফেরাতে  আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক সহযোগিতায় রাজি শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক জাগরণ যাত্রার ডাক সিপিবি’র ৪ঠা নভেম্বর সংবিধান দিবস এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চকে অস্বীকার করা, মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস পরিপন্থী : সিপিবি

বার কাউন্সিল নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের জয়

বার কাউন্সিল নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের জয়

দেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক ও তদারক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা।

মোট ১৪ পদের বিপরীতে এবারের নির্বাচনে সাধারণ ৭টি আসনের (দেশজুড়ে) মধ্যে ৪টি, গ্রুপভিত্তিক ৭টির মধ্যে ৬টিসহ ১০টি পদে জয়ী হয়েছেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত প্রার্থীরা।

আর সাধারণ তিনটি, অঞ্চলভিত্তিক একটিসহ চারটি আসন পেয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

২৫ মে বার কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহণের শেষে সব কেন্দ্রের ফলাফল বার কাউন্সিলে পৌঁছায়। এরপর গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় বার কাউন্সিলের সভাকক্ষে ভোট গণনা শুরু হয়।

ভোট গণনা শেষে রাত তিনটার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

এবারের নির্বাচনে সাধারণ আসনে ৩৫ জন ও অঞ্চলভিত্তিক ৭টি আসনের বিপরীতে ২৩ জন প্রার্থী হন। এর মধ্যে প্যানেল হিসেবে প্রার্থী দেয় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ-সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ (সাদা প্যানেল) ও বিএনপি-সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল প্যানেল)।

 

সাধারণ সাত আসনের মধ্যে সাদা প্যানেল থেকে চারজন নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ (১৭ হাজার ৪৩৩ ভোট), সৈয়দ রেজাউর রহমান (১৭ হাজার ৯৩ ভোট), মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান (১৬ হাজার ৮৪৪ ভোট) ও মো. রবিউল আলম (১৫ হাজার ২৭ ভোট)।

সাধারণ আসনে নীল প্যানেল থেকে এ এম মাহবুব উদ্দিন (১৬ হাজার ৮১১ ভোট), মো. রুহুল কুদ্দুস (১৫ হাজার ৯৬৫ ভোট) ও জয়নুল আবেদীন (১৪ হাজার ৭৯৬ ভোট) নির্বাচিত হয়েছেন।

সাতটি অঞ্চলভিত্তিক আসনের মধ্যে সাদা প্যানেল ছয়টিতে জয় পেয়েছে। গ্রুপ ‘এ’-তে (বৃহত্তর ঢাকা জেলার সব আইনজীবী সমিতি) নির্বাচিত হয়েছেন আবদুল বাতেন।

গ্রুপ ‘বি-তে (বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও ফরিদপুর জেলার সব আইনজীবী সমিতি) মো. জালাল উদ্দিন খান। গ্রুপ ‘ডি’-তে (বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা ও সিলেট জেলার সব আইনজীবী সমিতি) এ এফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী।

গ্রুপ ‘ই’-তে (বৃহত্তর খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের সব আইনজীবী সমিতি) আনিছ উদ্দিন আহমেদ। গ্রুপ ‘এফ’-এ (বৃহত্তর রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার আইনজীবী সমিতি) মো. একরামুল হক।

গ্রুপ ‘জি’-তে (বৃহত্তর দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া ও পাবনা জেলার সব আইনজীবী সমিতি) মো. আবদুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।

অঞ্চলভিত্তিক আসনে নীল প্যানেল থেকে শুধু গ্রুপ ‘সি’-তে (বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার সব আইনজীবী সমিতি) এ এস এম বদরুল আনোয়ার নির্বাচিত হয়েছেন।

তিন বছর পরপর বার কাউন্সিলের নির্বাচন হয়ে থাকে। গত বছর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে গত বছরের আগস্টে সংস্থাটির কার্যক্রম পরিচালনায় অ্যাডহক কাউন্সিল গঠন করা হয়।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত মার্চে নির্বাচনের জন্য ২৫ মে তারিখ ঠিক করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

বার কাউন্সিল নির্বাচনে ১৪টি পদ বা আসনে ভোট হয়। এর মধ্যে সাধারণ আসনে (দেশজুড়ে) সাতজন ও সাতটি অঞ্চলভিত্তিক আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন করে আরও সাতজন নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ১৪ সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান। অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকারবলে কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৮ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৪টি আসনের বিপরীতে ১২টি আসনে জয় পান বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত প্রার্থীরা। সাধারণ আসনে একটি, অঞ্চলভিত্তিক একটিসহ মোট দুটি আসনে জয় পান বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত বার কাউন্সিল নির্বাচনে ১৪টি আসনের মধ্যে সাদা প্যানেল পায় ১১টি আসন। আর নীল প্যানেল পায় তিনটি আসন।