শিরোনাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন নিত্যপণ্যের দাম কমানো, রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে গাইবান্ধায় বাম জোটের বিক্ষোভ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জরুরী পদক্ষেপের দাবি বাম জোটের জ্বালানি খাতে এখনই ৪০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব খাওয়ার স্যালাইনের সহ-উদ্ভাবক বাংলাদেশের বন্ধু রিচার্ড ক্যাশ মৃত্যু বরণ করেছেন বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যাবে তিনবার  কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে পদত্যাগের আলটিমেটাম  বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত টাকা ফেরাতে  আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক সহযোগিতায় রাজি শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক জাগরণ যাত্রার ডাক সিপিবি’র ৪ঠা নভেম্বর সংবিধান দিবস এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চকে অস্বীকার করা, মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস পরিপন্থী : সিপিবি

৩০ অক্টোবর দেশব্যাপী বিক্ষোভ

নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঢাকায় বামজোটের বিক্ষোভ

নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঢাকায় বামজোটের বিক্ষোভ

একগুয়েমি পরিত্যাগ করে সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেশকে সংঘাতের হাতে থেকে মুক্ত করার দাবিতে ২৬ অক্টোবর ২০২৩ বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল’র (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ’র (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কমরেড জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি কমরেড আবুল আলী প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের ঢাকা মহানগরের সমন্বয়ক কমরেড তৈমুর খান অপু।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে এখন চরম সঙ্কটময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। চুড়ান্ত সংঘাতের দিকে এগিয়ে চলছে। শুধু মাত্র সরকারের অযৌক্তিক ও একগুয়েমি আচরণের কারণে। সরকার স্বৈরাচারি কায়দায় একটি যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত রেখে চলমান দুঃশাসনকে টিকিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। দেশে আইনের শাসনের লেষমাত্র আর অবশিষ্ট নাই। মূল্যবৃদ্ধি, লুট-পাট, বাজার সিন্ডিকেট নৈরাজ্যের মহোৎসব চলছে দেশ জুড়ে। আর সাধারণ মানুষের জীবনে চুড়ান্ত নাভিশ্বাস। সরকারি দল ও সরকারি পুলিশ আজ একাকার হয়ে মানুষের স্বাভাবিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকারের উপরে হামলে পড়েছে। সভা সমাবেশ ও ন্যূনতম কথা বলার সুযোগ পর্যন্ত এখানে হরন করা হচ্ছে।  
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশের এই বেহাল অবস্থার জন্য সরকারের স্বৈরাচারি ও ফ্যাসিবাদী প্রবণতাই দায়ি। দেশের মানুষকে এই সংকট থেকে বের করার জন্য এই সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার থেকে কেউই রক্ষা পাবে না। নেতৃবৃন্দ তাই দেশকে অবশ্যাম্ভাবী সংঘাতের হাত থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জনান এবং পদত্যাগ করে একটি গণতান্ত্রিক নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথকে সুগম করে দেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সংকটময় সময়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ও বিদেশি দেশগুলো দেশের উপর হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পাচ্ছে। এ বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ আগামী ৩০ অক্টোবর একই দাবিতে দেশব্যাপি বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং দেশবাসীকে এই চলমান আন্দোলনে শরীক হয়ে নিজেদের অধিকার বুঝে নেবার জন্য আহ্বান জানান।